ডাক্তার
; একটা দুঃসংবাদ আছে, ভিক্টর সাহেব । আপনার জলাতঙ্ক হয়েছে ।
রোগী ; আমাকে এক টুকরো কাগজ আর একটা কলম দিতে পারেন
?
ডাক্তার
; উইল করবেন বুঝি ?
রোগী ; উঁহুঁ, কাকে কাকে কামড়াতে চাই তার একটা লিস্ট
বানাব ।
ছেলে
; বাবা, ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি দুই সমকোণ, এটা কিভাবে প্রমাণ করব ?
বাবা
; বলিস কিরে ? ওরা এখনও প্রমাণ বার করতে পারেনি ? সেই কোন ছেলেবেলা থেকে দেখছি
প্রমাণের জন্যে ওরা মাথা কুটে মরছে ।
ছেলে
; আব্বা, তিনটা আঙুর আর দুটো আঙুর মিলে কটা হয় ?
বাবা ; এই সহজ অঙ্কটাও শিখিসনি ? স্কুলে শেখায়টা কি
?
ছেলে
; অন্য অঙ্ক শেখায়, আব্বা । কলা যোগ করতে বলে ।
একটি
বাড়ির নির্মাণ কাজ চলছে । কাজ করছে অসংখ্য মজুর । প্রতি সপ্তাহে শ্রমিকদের পাওনা
মেটানো হয় । সে সপ্তাহে এক মজুর তার প্রাপ্যের চেয়ে দশ টাকা বেশি পেল । তবে সে মুখ
বন্ধ রাখায় তাৎক্ষণিকভাবে ধরা পড়ল না ভুলটা । পরে অবশ্য জানা গেল ব্যাপারটা ।
কিন্তু জানানো হল না মজুরকে । পরের সপ্তাহে তার প্রাপ্যের চেয়ে দশ টাকা কম দেয়া
হলে তীব্র প্রতিবাদ জানাল মজুর ।
‘ট্যাকা কম দিলেন কেন ? ’ জানতে চাইলে সে ।
‘ গত সপ্তাহে দশ টাকা বেশি দিয়েছি । কই
তখন তো টু শব্দটিও করোনি । এখন এত লাগে কেন ?
মজুর
মাথা চুলকে বলল, ‘মানুষের একবার ভুল হইতে পারে । সেইবার
হয়ত খেয়াল করি নাই, তাই বইল্যা কি বারবারই ভুল হইব ? ।
ঢাকা
শহরের এক অহংকারী লোক গেছে খুলনায় । সেখানে গিয়ে এক রেস্তরাঁয় সে গলাবাজি করতে
লাগল । সবাইকে শোনাচ্ছে, ঢাকায় কত নামকরা সর লোক জন্মেছেন ।
‘খুলনায় কোন বড় মানুষ জন্মেছেন ?’ জানতে চাইল সে ।
তার
খুলনার বন্ধু বলল, ‘না । এখানে শুধু বাচ্চারাই জন্মায় ।‘
যাত্রী ; এটা আমার ট্রেন ?
ইন্সপেক্টর
; না । বাংলাদেশ রেলওয়ের ।
যাত্রী ; ঠাট্টা ছাড়ুন, আমি বলতে চাইছি এটা নিয়ে
চিটাগাং যেতে পারব ?
ইন্সপেক্টর
; মনে হয় না । অসম্ভব ভারী ।
বান্টি ; মা, তোমার কাছে আমার দাম কত ?
মা ; কোটি কোটি টাকা, সোনা মণি ।
বান্টি ; তবে তার থেকে পাঁচটা টাকা দাও না, একটা
আইসক্রিম খাব ।
১ম
বন্ধু ; জন্মদিনে চিরুনি উপহার পেলে টেকো লোক কি বলবে ?
২য়
বন্ধু ; জানি না তো । কি বলবে ?
১ম
বন্ধু ; বলবে, যাক, ভালই হল, জিনিসটা সারা জীবন টিকবে ।
সুমন ; তোর সাইকেলটা কি আজ বিকেলে চালাবি ?
রাজন
; হ্যাঁ ।
সুমন ; খুব ভাল । আমি তবে তোর ক্রিকেট ব্যাটটা ধার
নিতে পারব ।
বাস
কন্ডাকটার ; যে পয়সাটা দিলেন সেটায় একটা
ফুটো আছে ?
যাত্রী ; তাতে কি ? তোমার সীটটাতেও তো দুটো
ফুটো ছিল ।
একটি
ছোট ছেলেকে রাস্তার মধ্যিখানে পাউডার ছড়াতে দেখা গেল ।
‘কি করছ তুমি ?’ জিজ্ঞেস করল একজন পুলিশ ।
‘কুমীরের পাউডার ছড়াচ্ছি,’ বলল ছেলেটি ।
‘এখানে কুমীর তো নেই,’ পুলিশটি বলল ।
‘দেখুন তবে পাউডারের গুণ,’ বলল ছেলেটি, ‘ছড়াতে না ছড়াতেই সব কুমীর বাপ বাপ করে
পালিয়েছে ।‘
No comments:
Post a Comment